কস্তরি হলুদ গুঁড়া
রুপচর্চার জন্য যে হলুদ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় তা হলো কস্তুরী হলুদ। এটি প্রাচীন আর্য়ূবেদে রূপচর্চার জন্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উপাদান গুলোর একটি।
ত্বকের যত্নে কস্তরি হলুদের উপকারিতাঃ
-ত্বক উজ্জ্বল করে।
-ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করে।
-ত্বকের সানট্যান কমায়।
-এন্ট-এজিং এর কাজ করে।
-লোমকূপ পরিষ্কার করে।
ব্যবহার বিধিঃ
👉 ত্বকে ব্রনের সমস্যা দূর করতে
কস্তুরী হলুদ সবচেয়ে কার্যকরি। কস্তুরী হলুদে আছে এন্টিইনফ্লামেটরি প্রোপার্টিজ যা ত্বকে ব্রন সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে। *কস্তুরী হলুদ গুঁড়া+ তুলসি পাতা গুঁড়া+ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারে ব্রণ ও ব্রণের কালো দাগ অনেকটা কমে যায়।
👉ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কস্তরি হলুদের ভূমিকা অসামান্য। ১ চা-চামচ কস্তুরী হলুদ গুঁড়া+ ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি+ ১ চা-চামচ টকদই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন নিয়মিত ব্যবহার করুন।
👉 মুখের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করতে কস্তুরী হলুদ বেশ কার্যকরি। *শুষ্ক ত্বক হলে কস্তুরী হলুদ গুঁড়া+ কাঁচা দুধ ও বেসনের পেস্ট তৈরী প্যাক ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বক হলে প্যাকে দুধের পরিবর্তে টক দই ব্যবহার করুন। আর সেনসেটিভ ত্বক হলে মধু ব্যবহার করুন।
👉 কস্তরি হলুদ ত্বকে রঙের অসামঞ্জস্যতা ও সানট্যান দূর করে। প্রতিদিন রাতে *১ চা-চামচ কস্তুরী হলুদ গুঁড়া+ সামান্য দুধ/ টক দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকেী রোদে পোড়াভাব কমাবে।
👉 কস্তুরী হলুদ ত্বকের বলিরেখা দূর করে। এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করে। ফলে ত্বকের সেল গুলো হয়ে উঠে উজ্জ্বল। নিয়মিত কস্তুরী হলুদ গুঁড়ার পেস্ট ব্যবহার করলে কয়েক মাসের মধ্যে আশানুরূপ ফল পাবেন।
👉 শংখ গুড়া ও কস্তুরি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে স্ট্রেচ মার্ক এর স্থানে লাগান।
There are no reviews yet.