তেজপাতা খুবই পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সুগন্ধি মসলা। তবে ঔষুধি গুনের দিক থেকে তেজপাতাকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে ডায়বেটিকস রোগের জন্য তেজপাতা একটি মহৌষধ।
- তেজপাতা হৃৎযন্ত্রের পেশিগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
- রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়বেটিকস প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
- তেজপাতার রস কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
- এর গুঁড়া দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ির ক্ষত দ্রুত ভালো হয়।
- তেজপাতায় আছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপার্টি যা শরীরের যেকোনো ব্যাক্টেরিয়া, চুলকানি, ব্রণ ইত্যাদি দূর করে।
এছাড়াও ত্বক ও চুলের যত্নে তেজপাতা গুঁড়া কিছু গুনাগুনঃ
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- তেলতেলে ভাব দূর করে।
- ত্বককে ব্রণ মুক্ত করে।
- প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে
- চুল পড়া কমায়।
- চুলের খুশকি ও রুক্ষতা দূর করে।
- তেজপাতা গুঁড়া+শসা+মধু+ দই ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
- তৈলাক্ত ত্বকের প্যাকঃ
- ১ চা চামচ তেজপাতা গুঁড়া + ১ চা চামচ মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল একত্রে মিশিয়ে এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করবে।
- প্রতিদিন রং চায়ের সঙ্গে তেজপাতা খেলে ত্বকের সতেজতা ঠিক থাকবে।
- তেজপাতা গুঁড়া পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুলে চুলের গোড়া মজবুত হয়ে চুল পড়া কমায়।
- চুলের খুশকি দূর করতে নারকেল তেলের সাথে তেজপাতা গুঁড়া মিশিয়ে তা মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। এর নিয়মিত ব্যবহারে খুশকি দূর হয়।
There are no reviews yet.